মাসুদুল হাসান মাসুদ,ভূঞাপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বালু ব্যবসা এখন স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। প্রায় প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো ঘাটে সেনাবাহিনী, এসিল্যান্ড, ইউ এন ও হানা দিয়ে বালু বহনকারী মালামাল, বেকু মেশিনের ব্যাটারী, স্যালো মেশিন জব্দ করে নিয়ে যাওয়াসহ জরিমানা করা হচ্ছে । স্তুপ করে রাখা বালু জব্দ করে নিলাম করছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয় যমুনা নদী পাড়ের বালু ব্যবসায়ীরা।
দেশের উন্নয়নের বিরাট একটি অংশের সহযোগী হচ্ছে এই সাদা বালু। ইমারত ও রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে বালুর গুরুত্ব অপরিসীম। এটাকে খনিজ পদার্থ মনে করে যুগে যুগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভূঞাপুরের এই বালু পরিবহন, উত্তোলন, বিপননের সাথে প্রায় ২ হাজার লোক জড়িত হয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।
এছাড়াও ভূঞাপুরের কোল ঘেষে প্রবাহিত যমুনা নদীর তীরবর্তী গোবিন্দাসী থেকে যমুনা সেতুর উত্তর অংশ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের মধ্যে ছোট বড় মিলে প্রায় ১৮ টি বালু বিক্রির ঘাট রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এসব এলাকার মানুষ যমুনা নদীর ইজারা কৃত বালু ঘাট থেকে ক্রয় করে নিজেদের ঘাটে স্তুপ করে রেখে বিক্রি করে আসছে।
এখানকার বালু ঢাকার অভিজাত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইমারত নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আয়রন মুক্ত এই বালুর চাহিদা একটু বেশিই।
স্থানীয় পলশিয়া গ্রামের বালু ব্যবসায়ী সুরুজ্জামান জানান, গত ১৫ বছরে একদিনও প্রশাসনের কাউকে বালু ঘাটে আসতে দেখিনাই, কোনো বালু জব্দ করার নজীর নাই। আমরা বৈধ ভাবে সিরাজগঞ্জের ইজারাকৃত বালু ক্রয় করে এনে বিক্রি করে থাকি, কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন তা মানতে নারাজ।
সিরাজকান্দী গ্রামের আর এক ব্যবসায়ী মাহবুবুবুর রহমান বেল্টু জানান, প্রশাসন যে কোনো নিয়মের মধ্যে আনলে আমাদের জন্য সুবিধা অযথা হুমকি ধামকি দিচ্ছে বন্ধ করে দেওয়ার।
এব্যাপারে গত ২৮ জানুয়ারি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির নিয়মিত সভায় ভূঞাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, ভূঞাপুরের বালু বিক্রির ঘাট সরকারি নিয়ম নীতির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে নীতি বহির্ভূত ভাবে বালু ঘাট পরিচালিত হচ্ছে বিধায় সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবৈধ বালু ঘাটের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply